আস-সালামু আলাইকুম, সুপ্রিয় দর্শক স্রোতা
আজ আমি আপনাদের সামনে যে বিষয় নিয়ে
আলোচনা করব, সে বিষয় হল "প্রবিত্রতা অর্জন করা"
আল্লাহ্ রব্বুল আলা-আমিন এ
বিষয়ে প্রবিত্র কুরআনুল কারিমের ভিতরে
সুরা আ'লাঃ ১৪ নাম্বার আয়াতে
قَدْ أَفْلَحَ مَنْ تَزَكَّىٰ
নিশ্চয় সাফল্য লাভ করে যে পবিত্রতা অর্জন করে।
But those will prosper who
purify themselves,
আরো
বলেছেন
قَدْ أَفْلَحَ مَنْ زَكَّاهَا
وَقَدْ خَابَ مَنْ دَسَّاهَا
সেই সফলকাম হবে যে নিজেকে পবিত্র করবে এবং সে ব্যর্থ হবে যে নিজেকে কলুষাচ্ছন্ন
করবে। আশ-শামস ৯ এবং
১০ আয়াত
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুটো কবরের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন, এমন সময় তিনি বললেন, এই কবরের দুই মুর্দাকে আযাব দেওয়া হচ্ছে। তেমন কোনো কোঠিন কাজের ব্যাপারে তাদের শাস্তি দেওয়া হচ্ছে না (যা থেকে বেঁচে থাকা মুশকিল)।
একজনের অপরাধ, সে পেশাবের নাপাকি হতে বেঁচে থাকত না।
আর দ্বিতীয় ব্যাক্তির অপরাধ, সে চোগলখোরি করে বেড়াত। তারপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি তরতাজা ডাল হাতে নিয়ে দুই টুকরো করলেন।
তারপর প্রত্যেক কবরে একটি করে গেড়ে দিলেন। সাহাবিরা আরজ করলেন, হে আল্লাহর নবী, কেন এমন করলেন? উত্তরে নবী ইরশাদ করলেন, আশা করা যায় যতদিন ডাল দুটি শুকিয়ে না যাবে, ততদিন তাদের কবরের আযাব হালকা করে দেওয়া হবে। -বুখারি ও মুসলিম
দর্শক স্রোতা
এজন্নই আপনাদের কাছে বিনিত
অনুরধ আপনেরা অবশ্যই নাপাকি থেকে বেঁচে থাকবেন। পবিত্রতা আর্জন করবেন।
আল্লাহ্ রব্বুল আল-আমিন
আমাদেরকে মানার তৌফীক দান করুক।